অভিজিৎ হত্যা মামলা ডিবিতে
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রগতিশীল লেখক ড. অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কালেজ হাসপাতালে মারা যান অভিজিৎ।
অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন নিহত অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অজয় রায়।
শনিবার মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।
বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ-রাফিদা দম্পতি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। বুয়েটের সাবেক শিক্ষক অভিজিৎ পেশায় প্রকৌশলী আর বন্যা চিকিৎসক।
পুলিশ জানায়, বইমেলায় একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তারা ফিরছিলেন। পথে টিএসসি মোড়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে অভিজিৎ মাথায় গুরুতর জখম হন। আঙুল বিচ্ছিন্ন হয় তার।
আহতদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টায় অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অভিজিৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে। তিনি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসার পর এ বাসাতেই অবস্থান করছিলেন অভিজিৎ দম্পতি।
এর আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জার্মানিতে তার মৃত্যু হয়। তদন্তে জানা যায়, জঙ্গিরা এই হত্যায় জড়িত ছিল।
এছাড়া ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর মিরপুরে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডেও জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় মামলার পর অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, ‘অভিজিৎকে হত্যার জন্য উগ্র জঙ্গিবাদীরাই দায়ী। এদের মদদ দিয়েছে জামায়াত।’
প্রতিক্ষণ/এডি/নয়ন